ভারতের নয়াদিল্লিতে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে যখন ডিজি পর্যায়ে বৈঠক চলছে ঠিক তখনই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের একাংশে মঙ্গলবার থেকে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আসামের কাছাড়ের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এই রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়। পাশাপাশি জারি করা হয়েছে আরও নানা ধরনের বিধিনিষেধ। ঈদের মুখে অনুপ্রবেশ ও পণ্য এবং গবাদি পশুর পাচার ঠেকাতেই এই কড়াকড়ি বলে মনে করা হচ্ছে।
অবশ্য আসমের কাছাড় জেলা প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অবৈধ কার্যকলাপ রোধ করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলাশাসক মৃদুল যাদব এই সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছেন। আদেশ অনুসারে, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারার অধীনে রাত্রিকালীন কারফিউ এবং অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করার লক্ষ্য হচ্ছে চরমপন্থীদের গতিবিধি রোধ করা। এছাড়াও সীমান্তে পণ্য ও গবাদি পশুর অননুমোদিত পরিবহণ আটকানো। কোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, সেদিকে নজর রাখাও এর উদ্দেশ্য। নতুন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কোনও ধরনের যাতায়াত করা যাবে না। এদিকে ভারতের কাছাড়ের দিকে সুরমা নদী বা এর তীরেও রাতে সব ধরনের গতিবিধির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ।
পাশাপাশি সুরমা নদীতে মাছ ধরার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধুমাত্র যে সব স্থানীয় বাসিন্দারা আগে থেকে কাটিগোরার সার্কেল অফিসারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে রেখেছেন, তাঁরাই সুরমা নদীতে মাছ ধরতে পারবেন।
অন্যদিকে কাছাড় জেলায় বাংলাদেশ সীমান্তের পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের মধ্যে চিনি, চাল, গম, ভোজ্য তেল এবং লবণের মতো জিনিসপত্র বহনকারী যানবাহন, গাড়ি বা রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অবশ্য স্থানীয় সাপ্লাই অফিসারের অনুমোদন নিয়ে স্থানীয়রা এই সব পণ্য বহন করতে পারবেন।
কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার নুমাল মাহাট্টা জানিয়েছেন যে, তারা সীমান্তে রাত্রিকালীন টহল জোরদার করেছেন। বিএসএফ জওয়ানদের সাথে সহযোগিতায় ভারত-বাংলা সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে কাছাড় পুলিশ। যৌথ ভাবে রাতে টহলদারি চলছে।
তবে হঠাৎ কেন এই কড়াকড়ি এর কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি।
খুলনা গেজেট/এনএম